আর্সেনিক কি?

আর্সেনিক একটি বিষাক্ত মৌলিক পদার্থ। এটি এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ যা ভূ-গর্ভস্থ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা হলো ০.০১ পিপিএম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আর্সেনিক দূষণের প্রভাব

আর্সেনিক হচ্ছে সবচেয়ে বিপদজনক ও বিষক্রিয়াযুক্ত মৌল। এটি লেড এর তুলনায় ৫ গুণ অধিক বিষাক্ত। অজৈব যৌগ ব্যাপক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। যেমন এটি –

১) পাকস্থলীর ও ক্ষুদ্রান্ত্রের ইরিটেশন ঘটায়। পেটে যন্ত্রণা ও বমি বমি ভাব হয়।

 

২) মূত্রাশয়ের ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা Renal failure নামে পরিচিত।

৩) রক্তের শ্বেত ও লোহিত কণিকা হ্রাস করে। লোহিত কণিকার হেমোগ্লোবিন ভেঙ্গে দেয় (হিমোলাইসিস)।

৪) লিভারে উত্তেজনা ও চর্মে ঘা হয়।

৫) অতিরিক্ত মাত্রার আর্সেনিক দূষণের কারণে চর্ম, ফুসফুস ও লিভার-এ ক্যান্সার হয়। আর্সেনিকের প্রভাবে রক্তজালিকার প্রাচীর ক্ষয়ে ফুসফুসে রক্তরস সঞ্চিত হয়। পালমোনারিইডিমা সৃষ্টি হয়।

৬) মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব ও মিসক্যারেজ হতে পারে।

 

৭) মস্তিষ্ক ও হৃদপিণ্ড আক্রান্ত হতে পারে।

৮) এর বিষক্রিয়ায় ফ্যারিনজাইটিস, স্যারিনজাইটিস, ব্রঙ্কাইটিস এবং স্থায়ীভাবে অ্যানিমিয়া প্রভৃতি কঠিন রোগ হয়।

৯) আর্সেনিকযুক্ত পানি দীর্ঘদিন পান করার ফলে যে ”ক্রনিক আর্সেনিক বিষক্রিয়া” হয় তাকে আর্সেনিকোসিস বলে। এতে হাতে ও পায়ে ঘা হয় এবং চামড়া, মূত্রাশয়, কিডনি ও ফুসফুসে ক্যান্সার ঘটায়, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ হয়।

১০) আর্সেনিক দূষণের আর একটি বড় প্রভাব ঘটে খাদ্য শৃঙ্খলে। জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণি যেমন সামুদ্রিক মাছ ও চিংড়ি সহজে আর্সেনিক গ্রহণ করে। এর মাত্রা 120 ppm পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আবার, ধান, শাকসবজি প্রভৃতি খাদ্যও খুবই সহজে আর্সেনিক গ্রহণ করতে পারে। ফলে আর্সেনিক বিষক্রিয়া খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *